সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

গাজায় খুব শিগগিরই আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে: ট্রাম্প


 ইসরায়েলের হামলা ও মানবিক সংকটের মধ্যেই গাজায় শিগগিরই আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনের এই যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ডে যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, “এটা খুব শিগগিরই ঘটতে যাচ্ছে। গাজার পরিস্থিতি এখন ভালোভাবে এগোচ্ছে।” তিনি আরও জানান, বেশ কিছু “শক্তিশালী দেশ” ইতিমধ্যে এই মিশনে অংশ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে, যাতে প্রয়োজনে তারা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সঙ্গে উদ্ভূত যেকোনো জটিলতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে। তবে হামাস এখনো নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি।

জাতিসংঘের ভূমিকা

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) ইতিমধ্যেই দুই বছরের জন্য একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীর ম্যান্ডেট অনুমোদন সংক্রান্ত আলোচনায় যাচ্ছে। এই বাহিনী সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা, সীমান্তে নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্বে থাকবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “গাজায় যেকোনো স্থিতিশীলতা বাহিনীকে অবশ্যই পূর্ণ আন্তর্জাতিক বৈধতা নিয়ে কাজ করতে হবে, যাতে তা প্রকৃত অর্থে ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করতে পারে।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব ও আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া

একজন মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত এই খসড়া ইতোমধ্যে ইউএনএসসির ১০ সদস্য ও আঞ্চলিক অংশীদারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হওয়ার কথা।
প্রস্তাবনাটি ইতোমধ্যে মিশর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্ক পর্যালোচনা করেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রায় ২০ হাজার সদস্যের স্থিতিশীলতা বাহিনী প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের অনুমতিসহ দায়িত্ব পালন করবে।

হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্পের ২০ দফা মধ্যপ্রাচ্য পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হামাসের নিরস্ত্রীকরণ। যদিও এ বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি, এই বাহিনীর অন্যতম কাজ হবে হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করে পুনর্গঠন রোধ করা।

তবে ইসরায়েল এই পরিকল্পনার প্রতি পুরোপুরি ইতিবাচক নয়। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগেই জানিয়েছেন, “গাজার নিরাপত্তা ভবিষ্যতেও ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।” অন্যদিকে, তুরস্ক এই উদ্যোগে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে এবং গাজায় শান্তি রক্ষায় মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।

মার্কিন বাহিনী যাবে না

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) প্রধান জানিয়েছেন, কোনো মার্কিন সেনা সরাসরি গাজায় মোতায়েন করা হবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, এই আন্তর্জাতিক বাহিনী যদি জাতিসংঘের পূর্ণ অনুমোদনে কাজ শুরু করতে পারে, তবে গাজায় মানবিক পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে, যদিও ইসরায়েলের অবস্থান বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Post a Comment

0 Comments