ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি সবসময়ই থাকেন আলোচনায়—কখনো তার খোলামেলা মন্তব্যে, কখনো ব্যক্তিজীবনের নানা ঘটনায়। এবার জানালেন নিজের ফিটনেস ধরে রাখার গোপন রহস্য।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পরীমণি বলেন,
“আমি বিশেষ কিছুই করি না। ভাতও খাই, আইসক্রিমও খাই। ঘুমেরও নিয়ম নেই—না ঠিক সময়ে ঘুমাই, না সময়মতো উঠি। তবে চেষ্টা করি জীবনটাকে মেইনটেইন করার।”
তিনি আরও বলেন,
“আমার দুই সন্তানই ছোট। ওদের ঘুমের রুটিন ঠিক থাকে না, তাই ওদের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমার দিন কাটে। আসলে ওদের পেছনে দৌড়াতেই ফিটনেস ফিরে পাচ্ছি।”
নায়িকার ভাষায়, সন্তানের দেখভালই এখন তার ব্যায়াম। স্বাভাবিক ও ভালোবাসায় ভরা এই জীবনযাপনই তাকে প্রাকৃতিকভাবে ফিট থাকতে সাহায্য করছে।
জন্মদিন ও উপহার প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন,
“আমার কাছে সবচেয়ে বড় উপহার হলো সবাই যদি একবার ‘হ্যাপি বার্থডে’ বলে উইশ করে। সেটাই আমার জন্য যথেষ্ট।”
দুই সন্তানের ব্যস্ত মা হয়েও নিজেকে সুন্দরভাবে সামলে নিচ্ছেন এই অভিনেত্রী। তার মতে, ফিট থাকার রহস্য লুকিয়ে আছে ভালোবাসা, যত্ন আর জীবনের সহজ ছন্দে।
বড়পর্দায় ফিরছেন পরীমণি
দীর্ঘ দুই বছরের বিরতির পর বড়পর্দায় ফিরছেন পরীমণি। মাতৃত্ব ও পারিবারিক জীবনে সময় দেওয়ার পর তিনি আবারও অভিনয়ে ফিরেছেন ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমার মাধ্যমে।
সিনেমাটির সহ-প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া জানান,
“ডাবিং ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের কাজ শেষ হয়েছে। এখন কেবল কালার গ্রেডিং ও এডিটিং চলছে। ইনশাআল্লাহ, রোজার ঈদে ছবিটি মুক্তি পাবে।”
২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হয় ‘ডোডোর গল্প’-এর শুটিং। পরীমণি এতে কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘কাজল চৌধুরী’ হিসেবে অভিনয় করেছেন, যার বিপরীতে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সাইমন সাদিক, ‘রায়হান’ নামের এক ফটোগ্রাফারের চরিত্রে।
পরীমণি বলেন,
“এই সিনেমাটি আমার কাছে বিশেষ। মাতৃত্বকালীন বিরতির পর এই ছবিতেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি দর্শকরা ছবিটি ভালোবাসবেন।”
ছবিটি পরিচালনা করেছেন রেজা ঘটক, যিনি গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপও লিখেছেন। নির্মাতার ভাষায়,
“একজন মায়ের সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি ও সমাজজীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছি এই সিনেমায়। কাজল চৌধুরীর জীবনের প্রায় বিশ বছরের যাত্রা ফুটে উঠেছে গল্পে।”

0 Comments