গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন ট্রাম্প

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধে স্থায়ী অবসান ঘটাতে ২০ দফার এক প্রস্তাব প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প প্রস্তাবের খুঁটিনাটি তুলে ধরে এ ঘোষণা দেন। খবরটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

প্রস্তাবে প্রতিপাদিত প্রধান পয়েন্টগুলি এমন —

• হামাস যুদ্ধবিরতি মেনে গেলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় ইসরায়েলি বন্দি উচ্চস্বরূপ সকল জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

• তারপর ধাপে ধাপে গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে অস্ত্র ও সশস্ত্র সংগঠনগুলিকে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে।

• গাজায় একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন (interim authority) গঠন করা হবে, নামকরণ করা হবে ‘দ্য বোর্ড অব পিস’ (The Board of Peace)। এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব সাময়িকভাবে নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে।

ট্রাম্প বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে কাজ করবে এবং পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সক্ষম নেতৃত্ব বাছাই করে গাজায় পূর্ণতাহীন ফিলিস্তিনি-নেতৃত্বাধীন প্রশাসন গঠনের লক্ষ্যে কাজ করবে। তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা কাজ করবে এবং গাজার পুনর্গঠন, নিরাপত্তা ও নাগরিক প্রশাসন গঠনের দায়িত্বে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

ট্রাম্পের ঘোষণায় বলেন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ কয়েকজন বৈশ্বিক নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্য হিসেবে কাজ করবেন—যা আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের গুণ ধরে রাখার উদ্দেশ্য।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রস্তাবটিকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে হোয়াইট হাউজি সংবাদে জানানো হয়েছে। তবে গাজাভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রস্তাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি; ট্রাম্প বলেন তিনি এমন সংবেদন পাচ্ছেন যে হামাসও এতে রাজি হতে পারে। হামাসের আনুষ্ঠানিক সম্মতি না মিললে প্রস্তাব কার্যকর হবে না।

প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ও সমস্যা
হোয়াইট হাউজ বলছে এ পদক্ষেপের উদ্দেশ্য গাজার ওপর দীর্ঘমেয়াদী সহিংসতা থামানো ও স্থানীয়ভাবে স্থিতিশীল প্রশাসন স্থাপন করা। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন — গাজা থেকে হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্রীকরণ ও বিদেশি নেতৃত্বাধীন প্রশাসন কার্যকর করা বাস্তবে নানা জটিলতা নির্ভর করে সংঘর্ষনিরতরণ, অঞ্চলে আরব ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সমর্থন এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্বীকৃতি ও ঐচ্ছার ওপর।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল।