সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সহজ ম্যাচ নাটকীয়ভাবে জিতল বাংলাদেশ

শেষ মুহূর্তে রোমাঞ্চ, মাঝপথে ধস, আবার শেষে ঠান্ডা মাথার ব্যাটিং—সব মিলিয়ে নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। শারজায় আফগানিস্তানের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।

ওপেনারদের স্বপ্নের সূচনা

বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হয় স্বপ্নের মতো। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে আফগান বোলারদের চাপে ফেলে দেন। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে শতরান। দুজনেই তুলে নেন অর্ধশতক—তামিম ৫১ ও ইমন ৫৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

হঠাৎ ধস নামল ব্যাটিংয়ে

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাঝপথে যেন ধস নামল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। রশিদ খানের ঘূর্ণিতে ছিন্নভিন্ন হয় টপঅর্ডার। ৯ রানের ব্যবধানে ৬ ব্যাটার ফেরেন সাজঘরে। ১০৯ থেকে ১১৮ রানে পৌঁছতেই হারাতে হয় ৬ উইকেট। ম্যাচ যেন ফসকে যাচ্ছিল হাত থেকে।

সোহান-রিশাদের শান্ত ইনিংস

সবশেষে চাপ সামলান নুরুল হাসান সোহান ও রিশাদ হোসেন। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ওভারে টানা দুই ছক্কা হাঁকান সোহান। শেষে অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ২৩ রানে। তার সঙ্গে রিশাদ খেলেন ৯ বলে ১৪ রানের ইনিংস। ইনিংসে ৮ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশ জয় নিশ্চিত করে।

আফগানিস্তানের ইনিংস

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। ইনিংসের শুরুতেই নাসুম আহমেদের বোলিংয়ে চাপে পড়ে তারা। ইব্রাহিম জাদরান ও সাদিকুল্লাহ আতাল দ্রুত আউট হন। পরে গুরবাজ (৪০) ও ওমরজাই মিলে দলকে কিছুটা এগিয়ে নিলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। শেষদিকে ঝড় তোলেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবি। ২৫ বলে ৩৮ রান করেন তিন ছক্কায়। এছাড়া শরাফুদ্দিন আশরাফ খেলেন অপরাজিত ১৭ রানের ইনিংস।

👉 নাটকীয় উত্থান–পতনের পরও শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশ। শারজাহর এই জয় টাইগারদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াবে বলেই মনে করছেন ক্রিকেটবিশেষজ্ঞরা।

Post a Comment

0 Comments