মানব সভ্যতার শুরু থেকেই যৌনতার প্রতি কৌতূহল ছিল প্রবল। মানুষ সবসময় খুঁজে এসেছে সেই উপায়, যা যৌনজীবনকে আরও আনন্দদায়ক এবং পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে। যৌনতা শুধু শারীরিক প্রয়োজন নয়, বরং মানসিক ও আবেগীয় তৃপ্তিরও উৎস।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন যৌনক্ষমতা বৃদ্ধির ওষুধ, খাবার বা উপাদানের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনো নিশ্চিত নয়। এ কারণে ১৯৯০ সালে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (FDA) নির্দেশ দেয়, কোনো খাবার বা ওষুধে “যৌনতা বৃদ্ধিকারক” দাবির উল্লেখ করা যাবে না।
গবেষকরা জানিয়েছেন, যৌন ইচ্ছা বা লিবিডোর প্রধান নিয়ামক হলো হরমোন—পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন এবং নারীদের ক্ষেত্রে এস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন। নারীদের শরীরে এন্ড্রোজেনের মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম হলেও তাদের শরীর এর প্রতি অনেক বেশি সংবেদনশীল, যার ফলে তারা প্রায় পুরুষদের সমপর্যায়ের লিবিডোর অভিজ্ঞতা পান।
যৌন গবেষণায় আরও নতুন তথ্য উঠে এসেছে—যেমন নারীর দেহে “জি-স্পট” নামক একটি সংবেদনশীল স্থান চিহ্নিত হয়েছে, যা উদ্দীপিত হলে তীব্র আনন্দ ও চরমপুলকের সৃষ্টি করে। তবে সব নারীর ক্ষেত্রে এর উপস্থিতি সমান নয় বলেও মত দিয়েছেন কিছু বিশেষজ্ঞ।
মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড ফ্রয়েড ও পরবর্তী গবেষকরা মনে করেন, যৌন চরমপুলক মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষ বৈদ্যুতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। নিউরোলজিস্টদের মতে, এটি মস্তিষ্কের আনন্দকেন্দ্রকে সক্রিয় করে তোলে, ফলে সাময়িকভাবে মানুষ স্থান-কাল ভুলে যায় এবং এক বিশেষ মানসিক স্তরে প্রবেশ করে।
দাম্পত্য সম্পর্কে যোগাযোগও যৌনজীবনের গুণগত মান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে গবেষণা জানাচ্ছে। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, পুরুষ ও নারীর ভাষা ও মানসিকতার সূক্ষ্ম পার্থক্য বোঝা গেলে সম্পর্ক আরও মজবুত হয় এবং যৌনজীবন হয়ে ওঠে পরিপূর্ণ।
0 Comments