সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

গ”র্ভাবস্থায় কত মাস পর্যন্ত স’হ”বাস করা উচিত? জেনে রাখুন তথ্যটি

অনেক দম্পতির মনে গর্ভাবস্থায় সহবাস নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকে। কেউ মনে করেন এ সময় সহবাস করা উপযুক্ত, আবার কেউ একে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন। চিকিৎসকরা বলছেন, স্বাভাবিক গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় সহবাস সম্পূর্ণ নিরাপদ।

গর্ভাবস্থায় সহবাস কি নিরাপদ?

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি গর্ভকালীন সময় স্বাভাবিক থাকে, তবে প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত সহবাস করা যেতে পারে। সহবাসের সময় গর্ভের শিশুর কোনো ক্ষতি হয় না, কারণ শিশু জরায়ুর শক্ত পেশী ও অ্যামিনিওটিক স্যাক দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। এছাড়া জরায়ুর মুখ মিউকাস প্লাগ দিয়ে সীল করা থাকে, যা শিশুকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

সহবাসের সময় পুরুষের গোপনাঙ্গ জরায়ু পর্যন্ত পৌঁছায় না, তাই গর্ভের শিশুর ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না। সহবাসের পর নারীর অর্গাজম হলে শিশুর নড়াচড়া কিছুটা বেড়ে যেতে পারে, যা স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া।

কখন সহবাস নিরাপদ নয়

তবে গর্ভাবস্থায় কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে সহবাস থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে রয়েছে:

  • যমজ বা একাধিক সন্তান গর্ভে থাকা

  • পূর্বে গর্ভপাত বা প্রি-টার্ম ডেলিভারির ইতিহাস থাকা

  • প্লাসেন্টা প্রিভিয়া (প্লাসেন্টা জরায়ুর মুখ ঢেকে রাখা)

  • সারভিকাল ইনকম্পিটেন্সি

  • গোপনাঙ্গে কোনো সংক্রমণ থাকলে

এ ছাড়া যদি সহবাসের সময় রক্তপাত, ব্যথা বা অস্বাভাবিক তরল নির্গমন হয়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

সহবাস আকাঙ্ক্ষায় পরিবর্তন

গর্ভাবস্থায় হরমোনের তারতম্যের কারণে সহবাসের আকাঙ্ক্ষা কমবেশি হতে পারে।

  • প্রথম ট্রাইমেস্টার: হরমোন পরিবর্তন, বমি ভাব, ক্লান্তি ও স্তনে ব্যথার কারণে ইচ্ছা কমতে পারে।

  • দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার: এই সময়ে ইচ্ছা আবার বাড়তে পারে, কারণ শারীরিক অসুবিধা কম থাকে।

  • তৃতীয় ট্রাইমেস্টার: পেট বড় হয়ে যাওয়ায় এবং প্রসব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় সহবাসের ইচ্ছা আবার কমে যেতে পারে।

সহবাসকে কীভাবে নিরাপদ করবেন

গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় কিছু সতর্কতা মেনে চলা উচিত।

  • চাপমুক্ত ভঙ্গি বেছে নিন, যেমন পাশ ফিরে শোয়া বা সঙ্গীর পাশে অবস্থান করা।

  • অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এমন পজিশন এড়িয়ে চলুন।

  • ওরাল সহবাস করা যেতে পারে, তবে যোনিতে বাতাস না ঢোকানোর জন্য সতর্ক থাকতে হবে।

  • পায়ুপথে সহবাস এড়িয়ে চলা ভালো, কারণ এতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

  • কোনো লুব্রিকেটিং জেল ব্যবহার না করাই ভালো।

  • মিলনের পর গোপনাঙ্গ ভালোভাবে পরিষ্কার রাখা উচিত।

সম্পর্কের মানসিক দিক

সহবাস সম্ভব না হলেও স্বামী-স্ত্রীর মানসিক যোগাযোগ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। হাতে হাত রেখে সময় কাটানো, চুম্বন, আলাপ এবং হালকা ম্যাসাজ দম্পতিকে মানসিকভাবে কাছাকাছি আনে।

 

Post a Comment

0 Comments