বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল, দাঁড়াল প্রায় ৩০.৮৯ বিলিয়ন ডলার

পিএনএস ডেস্ক: দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। এর আগে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে ছিল ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।

রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ১৩০ কোটি ডলার। এই রেমিট্যান্স প্রবাহ রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।

আকু বিল পরিশোধের পরও রিজার্ভে বৃদ্ধি

গত সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে। তখন বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।

আমদানি ব্যয়ের তুলনায় রিজার্ভ

বিশ্ব মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশ সেই সীমা কিছুটা অতিক্রম করে অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ থেকে আসা ডলার রিজার্ভে যুক্ত হয়। অন্যদিকে আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ, বিদেশি কর্মীদের পারিশ্রমিক, শিক্ষা ও ভ্রমণ খরচসহ বিভিন্ন খাতে ডলার ব্যয় হওয়ায় রিজার্ভে ওঠানামা দেখা দেয়।