ব্রা সম্পর্কে অজানা তথ্য: নামের পেছনের ইতিহাস ও ব্যবহার
মহিলাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পোশাকগুলোর মধ্যে ব্রা অন্যতম। তবে এখনো সমাজে এটি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয় না। দোকান থেকে কিনতে গিয়েও অনেক মহিলাকে বিব্রত হতে হয়। অথচ এটি এমন এক অন্তর্বাস, যা নারীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও শারীরিক সৌন্দর্য বজায় রাখতে সহায়ক।
ব্রা শব্দটির উৎপত্তি ফরাসি শব্দ ‘ব্রেসিয়ার’ থেকে। ১৮৯৩ সালে প্রথমবার এক মার্কিন সংবাদপত্রে এই শব্দ ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীতে ম্যাগাজিন ও অন্যান্য মাধ্যমে এর প্রচলন বাড়তে থাকে এবং কয়েক বছরের মধ্যেই অক্সফোর্ড অভিধানেও স্থান পায়। তবে প্রাথমিকভাবে এর অর্থ ছিল শিশুদের অন্তর্বাস। পরবর্তীতে এটি নারীদের পোশাক হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
প্রথমদিকে ব্রা-তে কাপের আকার ছিল না। ১৯৩০ সালে এসএইচ ক্যাম্প কোম্পানি প্রথমবারের মতো কাপযুক্ত ব্রা বাজারে আনে, যা নারীদের জন্য অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে ওঠে।
মজার ব্যাপার হলো, ব্রা শব্দটি অনেকের মতে একটি সংক্ষিপ্ত রূপ (BRA: Breast Resting Area), অর্থাৎ ‘স্তন বিশ্রামের এলাকা’। তবে আধুনিককালে এটি শুধু কার্যকারিতা নয়, ফ্যাশনের অংশও হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের A থেকে D সাইজের ব্রা পাওয়া যায়।
তবে গবেষণা বলছে, প্রায় ৮০ শতাংশ নারী ভুল সাইজের ব্রা পরেন। ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করা জরুরি, কারণ দীর্ঘদিন একই ব্রা ব্যবহার করলে স্তনের ক্ষতি হতে পারে। সাধারণত একটি ব্রা-র কার্যকারিতা থাকে ৮ থেকে ৯ মাস।
ব্রা শুধুমাত্র একটি পোশাক নয়, বরং নারীদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ—যা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা যায়।
0 Comments