হঠাৎ শা’রীরিক মি’লন বন্ধ করলে মেয়েদের যা হয়, সকল ছেলেদের জানা উচিৎ

হঠাৎ দাম্পত্য জীবন বন্ধ হলে নারীর শরীরে কী প্রভাব পড়ে? বিশেষজ্ঞদের মতামত

বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে দাম্পত্য সম্পর্কের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে স্বামী-বিয়োগ, বিবাহবিচ্ছেদ, দূরত্ব বা অন্যান্য কারণে অনেক নারীর জীবনে দাম্পত্য মিলন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এতে শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মানসিক প্রভাব বাড়ে
দাম্পত্য মিলন মানসিক প্রশান্তি আনে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে হতাশা, অস্থিরতা, রাগ, বিরক্তি ও মানুষের সঙ্গে আচরণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। গবেষণা বলছে, দাম্পত্য মিলন বন্ধ হওয়া নারীদের মধ্যে এন্ডোরফিন ও অক্সিটোসিন নামক ‘ফিল-গুড’ হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়, যা মানসিক ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সংক্রমণ কমে, কিন্তু রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও হ্রাস পায়
দাম্পত্য মিলনের পর মূত্রনালীতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়লেও এটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে সেই ঝুঁকি কমে যায়। তবে নিয়মিত দাম্পত্য মিলন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সাপ্তাহিক দু’বার সম্পর্ক স্থাপন করলে ইমিউনোগ্লোবিন এ নামক হরমোন ৩০% বৃদ্ধি পায়, যা ঠান্ডা-কাশি ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।

হৃদযন্ত্র ও হরমোনের ওপর প্রভাব
নিয়মিত সম্পর্ক হরমোনের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে হরমোনজনিত অসুবিধা ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এমনকি নিয়মিত ব্যায়াম করলেও দাম্পত্য সম্পর্কের অভাবজনিত প্রভাব পুরোপুরি কাটানো সম্ভব নয়।

ইচ্ছাশক্তি ও স্মৃতিশক্তির হ্রাস
দীর্ঘদিন দাম্পত্য মিলন না হলে যৌন ইচ্ছাশক্তি হ্রাস পেতে থাকে, বিশেষত নারীদের ক্ষেত্রে। সময়ের সাথে সাথে যৌন আকাঙ্ক্ষা প্রায় হারিয়ে যেতে পারে। এছাড়া স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া, ভুলে যাওয়া, ও মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
মনোবিজ্ঞানী ও যৌনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হঠাৎ দাম্পত্য জীবন বন্ধ হয়ে গেলে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য কাউন্সেলিং, হালকা ব্যায়াম, মেডিটেশন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।