মৌসুমি ফল পেয়ারা : পুষ্টি ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
মৌসুমি ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা অন্যতম জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর একটি ফল। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম হলেও ফাইবার বেশ বেশি। সরাসরি খাওয়া হোক বা চাটনি বানিয়ে, পেয়ারার রয়েছে নানা গুণাগুণ। শুধু ফল নয়, এর পাতারও রয়েছে ঔষধি গুণ।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ
পেয়ারা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও পটাসিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। একটি মাঝারি আকারের পেয়ারায় থাকে প্রায় ১০০ ক্যালোরি, ২০ গ্রাম শর্করা, ৯ গ্রাম ফাইবার এবং মাত্র ১.৬ গ্রাম চর্বি। এছাড়া এতে ৪-৫ গ্রাম প্রোটিনও পাওয়া যায়।
পেয়ারার উপকারিতা
১. ১০০ গ্রাম পেয়ারায় থাকে প্রায় ১৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, যা ঠাণ্ডা-কাশি প্রতিরোধে সহায়ক এবং শ্বাসতন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়।
২. ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যেও পাকা পেয়ারা উপকারী।
৩. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে।
৪. পাকস্থলির সমস্যা ও ত্বকের যত্নে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
৫. ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ডায়রিয়া প্রতিরোধেও উপকারী।
কখন ও কতটা খাবেন
দিনে একটি পেয়ারা খাওয়াই যথেষ্ট। তবে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি থাকলে অর্ধেক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। দুপুর বা বিকেলে দুটো ভারী খাবারের মাঝের সময় কিংবা ব্যায়ামের আগে-পরে খাওয়া ভালো। তবে রাতে পেয়ারা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, এতে ঠাণ্ডা ও কাশির সমস্যা হতে পারে।
কারা কম খাবেন
যাদের পেট ফাঁপার প্রবণতা রয়েছে, তাদের পেয়ারা কম খাওয়া উচিত। কারণ এতে ভিটামিন সি ও ফ্রুকটোজ বেশি থাকে। আবার যাদের ফ্রুকটোজ হজমে সমস্যা বা আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম) রয়েছে, তাদের জন্যও অতিরিক্ত পেয়ারা ক্ষতিকর হতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সতর্কতা
পেয়ারা ‘লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ যুক্ত ফল হলেও এতে চিনি একেবারে কম নয়। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় থাকে প্রায় ৯ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পেয়ারা অবশ্যই পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত, নইলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে।
0 Comments